Monday, January 13, 2014

উইকিপিডিয়া: শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান



শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে


চিত্র:Sholakia.jpg
কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদগাহ ময়দানে জামাতে মুসল্লিদের একাংশ

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান।[১] প্রতিবছর এ ময়দানে ঈদ-উল-ফিতরঈদ-উল-আজহার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কালের স্রোতে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানটি পরিণত হয়ে উঠেছে একটি ঐতিহাসিক স্থানে। বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় এখানে। এ ময়দানের বিশাল জামাত গৌরবান্বিত ও ঐতিহ্যবাহী করেছে কিশোরগঞ্জকে। বর্তমানে এখানে একসঙ্গে তিন লক্ষাধিক মুসলি্ল জামাতে নামাজ আদায় করেন। নামাজ শুরুর আগে শর্টগানের ফাঁকা গুলির শব্দে সবাইকে নামাজের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য সঙ্কেত দেওয়া হয়। কিশোরগঞ্জ শহরের পূর্বে নরসুন্দা নদীর তীরে এর অবস্থান।
মাঠের ইতিহাস[সম্পাদনা]

ইসলামের ঐশী বাণী প্রচারের জন্য সুদূর ইয়েমেন থেকে আগত শোলাকিয়া 'সাহেব বাড়ির' পূর্বপুরুষ সুফি সৈয়দ আহমেদ তার নিজস্ব তালুকে ১৮২৮ সালে নরসুন্দা নদীর তীরে ঈদের জামাতের আয়োজন করেন।[২][৩][৪][৫] ওই জামাতে ইমামতি করেন সুফি সৈয়দ আহমেদ নিজেই। অনেকের মতে, মোনাজাতে তিনি মুসলি্লদের প্রাচুর্যতা প্রকাশে 'সোয়া লাখ' কথাটি ব্যবহার করেন। আরেক মতে, সেদিনের জামাতে ১ লাখ ২৫ হাজার (অর্থাৎ সোয়া লাখ) লোক জমায়েত হয়। ফলে সোয়া লাখ থেকে শোলাকিয়া নামটি চালু হয়ে যায়।[৬] আবার কেউ কেউ বলেন, মোগল আমলে এখানে অবস্থিত পরগনার রাজস্বের পরিমাণ ছিল সোয়া লাখ টাকা। উচ্চারণের বিবর্তনে সোয়া লাখ থেকে সোয়ালাখিয়া_ সেখান থেকে শোলাকিয়া। পরবর্তিতে ১৯৫০ সালে স্থানীয় দেওয়ান মান্নান দাদ খাঁ এই ময়দানকে অতিরিক্ত ৪.৩৫ একর জমি দান করেন।[২]
মাঠের বর্ণনা[সম্পাদনা]

বর্তমান শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের আয়তন ৭ একর। নরসুন্দা নদীর তীরে শোলাকিয়ার অবস্থান। বর্তমানে শোলাকিয়ার পূর্বপ্রান্তে দু'তলা একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এই ঈদগাহ মাঠটি চারপাশে উচু দেয়ালে ঘেরা হলেও মাঝে মাঝেই ফাঁকা রাখা হয়েছে যাতে মানুষ মাঠে প্রবেশ ও বের হতে পারে। এছাড়া এই মাঠের প্রাচীর দেয়ালে কোনো দরজা নেই। শোলাকিয়া মাঠে ২৬৫ সারির প্রতিটিতে ৫০০ করে মুসল্লি দাঁড়াবার ব্যবস্থা আছে। ফলে মাঠের ভেতর সবমিলিয়ে এক লাখ বত্রিশ হাজার ৫০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। তবে ঈদুল ফিতরের সময় দেখা যায়, আশপাশের সড়ক, খোলা জায়গা, এমনকি বাড়ির উঠানেও নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। এভাবে সর্বমোট প্রায় তিন লাখ মুসল্লি ঈদের নামাজ পড়ে থাকেন। এবং এই মুসল্লির এই সংখ্যা প্রতিবছর বেড়ে চলেছে। শোলাকিয়া ঈদগাহ'র ব্যাবস্থাপনার জন্য ৫১ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি রয়েছে। ঈদের নামাজের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতিমূলক কর্মকান্ড এই কমিটি করে থাকে।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

Jump up↑ Eid-ul Fitr; Banglapedia; Retrieved on 2007-08-26.
Jump up to:২.০ ২.১ দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন
Jump up↑ দৈনিক আজকের খবর
Jump up↑ সরকারী ওয়েবসাইট
Jump up↑ ময়মনসিংহ জেলায় ইসলাম, লেখকঃ মোঃ আবদুল করিম, প্রকাশকঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, পৃষ্ঠাঃ ১২৫-১২৮
Jump up↑ সরকারী ওয়েবসাইট
Jump up↑ দৈনিক সংবাদে প্রকাশিত নিবন্ধ

link: http://bn.wikipedia.org/wiki/শোলাকিয়া_ঈদগাহ_ময়দান

ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ্ নামকরণ সংক্রান্ত তথ্য

  একসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রাম 
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক ঈদগাহের সৃষ্টির ইতিহাস সম্পর্কে অনেক জনশ্রুতি প্রচলিত রয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, ১৮২৮ সালে এ মাঠের গোড়াপত্তন হয়। ওই বছরই স্থানীয় সাহেব বাড়ির উর্দ্ধতন পুরুষসৈয়দ আহমদ (র:) তার তালুক সম্পত্তিতে তারই ইমামতিতে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। পরে স্থানীয় হয়বতনগর দেওয়ান বাড়ির অন্যতম দেওয়ান মান্নান দাদ খানের বদান্যতায় এ মাঠের কলেবর বৃদ্ধি পায় এবং এর পরিধি বিস্তৃতি লাভ করে। দেওয়ান মান্নান দাদ খান ছিলেন বীর ঈসাখাঁর অধঃস্থন বংশধর। গোড়াপত্তনের পর বিভিন্নভাবে এবং বিভিন্ন কারণে এ মাঠের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বাড়তে থাকে এবং ক্রমান্বয়ে এ মাঠের প্রসার ও প্রসিদ্ধি ঘটে এবং দেশ ও দেশের বাইরে এর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে।

এ মাঠের নামকরণের বিষয়ে জনশ্রুতি হচ্ছে যে, বহুকাল আগে একবার এ মাঠে ঈদের জামাতে জামাতির সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১ লাখ ২৫ হাজার অর্থাৎ সোয়া লাখ। এই সোয়া লাখ থেকেই উচ্চারণ বিবর্তনে বর্তমান শোলাকিয়ার নামকরণ হয়েছে। অপর একটি ধারণা হচেছ, মোগল আমলে এখানে পরগনার রাজস্ব আদায়ের একটি অফিস ছিল। সেই অফিসের অধীন পরগণার রাজস্বের পরিমাণ ছিল সোয়া লাখ টাকা। জনশ্রুতি হচ্ছে, এটাও ‘‘শোলাকিয়া’’ নামকরণের উৎস হতে পারে। জানা গেছে, ঐতিহ্যবাহি এ মাঠে খ্যতিসম্পন্ন আলেমগণ ইমামতি করেছেন। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী প্রথম বড় জামাতের পর আরো যাঁরা ইমামতি করেছেন তাঁরা হলেন হযরত মাওলানা হাফেজ মুহম্মদ হযরত উল্লাহ, হযরত মাওলানা পেশওয়ারী, হযরত মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন, আলহাজ্ব মাওলানা হামিদুল হক, হযরত মাওলানা মাজহারম্নল হক, হযরত মাওলানা আবদুল গনি, হযরত মাওলানা আতহার আলী, হযরত মাওলানা আবদুল মান্নান, হযরত মাওলানা আবুল খায়ের মুহাম্মদ নূরুল্লাহ, মাওলানা আবুল খায়ের মুহাম্মদ সাইফুল্লাওও মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।

তথ্যসূত্রঃ মু.আ.লতিফ, বিশিষ্ট সাংবাদিক
আপলোডেঃ মাহাবুব, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর
আইসিটি সেল, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, কিশোরগঞ্জ
link: http://www.kishoreganj.gov.bd/node/484697